দুই শো মিটারের স্প্রিন্টার হয়ে মুখ থুবড়ে না পড়ি

পাঠচক্র


আলোচক হই, সমালোচক না। দুই শো মিটারের স্প্রিন্টার হয়ে মুখ থুবড়ে না পড়ি। হই, মাইলের পর মাইল দৌড়ানো ম্যারাথন রেসার। তাই, সংযত থাকা জরুরী। জরুরী হলো সবর। প্রতিক্রিয়াশীল কাজও দরকার। তবে সব সময় নয়। সালাত তো ফরজ। তবে, সালাতেরও আছে নিষিদ্ধ ওয়াক্ত। সফরের সময় আছে কসর। জামাআতে পাশের লোকটা হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে মুখ থুবড়ে পড়লে আছে সালাত ছেড়ে ওই লোকের সেবার বিধানও। আবেগ জরুরী, তারচেয়ে বেশি জরুরী আবেগের নিয়ন্ত্রণ। আমাদের সামনে অনেক কাজ। আর সবগুলোই জরুরী। সব তো একসাথে করার সামর্থ্য নাই। তাই, জরুরী প্রায়োরিটি লিস্ট ফিক্সড করা। চলমান ক্যাঁচাল নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানোর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। সেই সব কাজের জন্য লোকবল সংকট। বাস্তবতা এটাই যে মিছিলে হাজারো লোক পেছনে দাঁড়ালেও একডেমিক ওয়ার্কশপ বা পাঠচক্রগুলো খাঁ খাঁ করে আমাদের। স্লোগান দেওয়ার অনেক লোক থাকলেও পড়ার লোক নাই। সমস্যা আছে। সমাধানও আছে। কোনটাতে সমস্যা আরো ঘোলাটে হবে আর কোনটাতে সমাধান হবে - এইটুকু বোঝার ম্যাচিউরিটি অর্জন করা জরুরী। সামনাসামনি সংলাপ পারস্পারিক দূরত্ব কমায়। আমরা একমত না হই, তবে মা/রমুখী আচরণও কাম্য না।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন