সবার অধিকারের কথা তুমি লেখো, তোমার কথা লিখবে কে?

লেজেন্ড


পাশের রুমে শাকিল, মাহবুব আর ইয়াসিন মেসের বিদায়ী হিসাব-নিকাশ করতেছে। ওদেরকে গিয়ে বললাম, "তোমরা তিন মেধাবীই হলে অ্যালোটমেন্ট পেয়ে গেলা। আমিই শুধু ধইঞ্চা, সিট পাইলাম না।" শাকিল আমাকে রুমের দেয়ালে আব্দুল্লাহর লেখা একটা কোটেশন দেখায়ে চুপ করায়ে দিলো। (কোটেশনটা ছবিতে অ্যাড করলাম) নোট: আব্দুল্লাহ নিজেও আমানত হলে সিট পেয়ে গেছে। দিন শেষে মেসে জুনিয়রদের পাহাড়া দেওয়ার দায়িত্ব আমারই রয়ে গেলো।


আমার একটা প্রস্তাবনা আছে। আমার নিজের জন্য লাগবে না। অন্যদের জন্য বলতেছি এটা। শুধুমাত্র একাডেমিক সিজিপিএ মেধাবী হওয়ার মানদন্ড হতে পারে না। হলগুলোতে খেলোয়াড় কোটা আর শিল্পী কোটা বহাল রাখা হয়েছে। অথচ সাংবাদিকদের জন্য কোনো সিট নাই। খেলোয়াড় আর শিল্পীদের অবদানকে আমি অস্বীকার করতেছি না। কিন্তু, পক্ষপাত ছাড়া মন থেকে বলুন তো, ক্যাম্পাসের জন্য ওনাদের চেয়ে সাংবাদিকদের অবদান কী খুবই কম? ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা ক্যাম্পাসের স্বার্থ আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে সদা উৎসর্গিত থাকে। পত্রিকায় লেখা কলমের আঁচড়ে কী মেধার স্বাক্ষর থাকে না? শুধু পরীক্ষার খাতাতেই মেধা সীমাবদ্ধ? প্রতি হলে দুই জন করে সাংবাদিককে সিট দিলে, ওনারা হলের শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করে লেখালেখির সুযোগ পাবে। যেটা আরো সুন্দর চবি নিশ্চিত করবে, ইনশাআল্লাহ।


হলের অন্য শিক্ষার্থীদের সাহায্যার্থে খেলোয়াড় আর শিল্পীদের চেয়ে সাংবাদিকদের অবদান কী খুবই কম? ওনাদের মেধা একডেমিক সিজিপিএর বাইরে কাউন্ট করা হলে, সাংবাদিকদেরটা কেন করা হবে না? ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা অন্যের অধিকারের জন্যই সব সময় ডেডিকেটেড থাকে। নিজের জন্য কোনো কিছু চায় না এরা। হলের সিটও চাইবে না, সেটা আমি জানি। "সাংবাদিকরা সিট চাচ্ছে" এরকমটা বলে বুলিং করিয়েন না আবার। আমি আলাপটা তুললাম আমার নন-সাংবাদিক সত্ত্বা থেকে। আমি ফুল টাইম সাংবাদিক না। অর্ধেক সাংবাদিক, অর্ধেক বিপ্লবী। 


সবার অধিকারের কথা তুমি লেখো, তোমার কথা লিখবে কে?

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন