ইব্রাহিম রনি ভাইকে সবাই শিবির নেতা হিসেবেই চিনে। এটা নতুন করে এক্সপোজ করার কিছু নাই। তবে, উনি চবির সেক্রেটারি না। ওনাকে দেখতেছি অনেকে চবি সেক্রেটারি হিসেবে পোস্ট করতেছে, বিষয়টি অসত্য।
শিবির যেহেতু প্রকাশ্যে আসতেছে। তাই, ভাইয়ের সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য অ্যাড করে দিচ্ছি। মাসনূন, সুমাইয়া, ঈশা দে - ওনাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইব্রাহিম রনি ভাইকে সমন্বয়ক পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিলো। মিডিয়ার সামনে সবার প্রশ্ন এরকমটা ছিলো যে, "ওনাকে তো আন্দোলনের সমন্বয়ে দেখিনি। কিন্তু, অভ্যুত্থানের পরে ৫ তারিখে অন্য সমন্বয়কদের পরামর্শ না নিয়ে ওনাকে সমন্বয়ক টিমে অ্যাড করা হলো কেন?" সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একদলের প্রশ্ন ছিলো, "শিবির নেতা ইব্রাহিম রনিকে সমন্বয়ক হিসেবে যুক্ত করা হলো কেন?"
উত্তরটা আমি দিচ্ছি:
১৯ জুলাইয়ের পরে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী হলে ছিলো না। তখন শহরে আন্দোলন কারা করেছে? আমি নিজেই লুকিয়ে, আব্দুর রহমান বাড়িতে, রাসেল ভাই আর রাফি ভিডিও বার্তা দেন গোপনে থেকে। এই সময়টাতে চট্টগ্রামে আন্দোলনের মাঠে কারা ছিলো? ২০ জুলাই থেকে ৩৬ জুলাই কারা মাঠে নেতৃত্ব দিয়েছে? স*শ*স্ত্র লীগ ক্যাডারদের কারা প্রতিহত করেছে? আপনি ওই সময়টাতে নিজে মাঠে থাকলে এটা জানার কথা যে, ইব্রাহিম রনিরাই ওই সময় মাঠে শিবিরের সব কয়টা ইউনিটকে নামিয়ে আন্দোলন বেগবান রেখেছিলো। চবির বাইরের বা শহরে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য দলের শিক্ষার্থীদের অবদানকে অস্বীকার করছি না। তবে, হল এবং ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এসময়টাতে শিবির নেতারাই নেতৃত্বে ছিলো। ১৬ জুলাই শাহাদাতের প্রথম দিনেই চট্টগ্রামে শিবিরের সাথী ফয়সাল আহমেদ শান্ত শাহাদাত বরণ করেছেন। ৫ তারিখ যখন ছাত্রদল মিছিল করতেছিলো, টোকাইরা হল ভেঙে লুট করতে আসতেছিলো। তখন এই ইব্রাহিম রনিই হলগুলো পাহাড়া দিয়ে সেইভ করেছে। আমি নিজে ৫ তারিখ ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলাম। ৫ তারিখের আগে ওনারে আমি চিনতাম না। কিন্তু, উনি না থাকলে ক্যাম্পাসের হলগুলো আপনারা অক্ষত পেতেন না।
আমি নিজে শিবির করি না। শিবির পছন্দও করি না। কিন্তু, চট্টগ্রামের আন্দোলনে শিবিরের কন্ট্রিবিউশন অস্বীকার করতে পারি না। আর বাকি সবার নাম ধরে এখনই বিস্তারিত লেখতে পারতেছি না। কারণ, অন্যরা ইব্রাহিম রনি ভাইয়ের মতো ওপেন না। সাধারণ ছাত্র সেজেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ওনারা নিজে থেকে বা ওনাদের সংগঠন থেকে এক্সপোজ করলে তখন লেখবোনি বাকিদের নিয়ে, ইনশাআল্লাহ।
(যারা ২০ থেকে ৩৬ জুলাই চট্টগ্রামের মাঠে ছিলেন... শুধু এরকম চবির স্টুডেন্টদের গা*লিগা*লাজকেই ওয়েলকাম করতেছি। বাইরে কারোর না বা এই টাইমে শহরে ছিলেন না এমন কারোরও না। ধন্যবাদ।)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন