শাটলের দরজায় কোনো মতো দাঁড়ানো আর প্রচন্ড ডিপ্রেশন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন


রাজশাহীতে কাঁচা বাজারে অনেক আপুরা আসতেন। আরএমসি, রুয়েট, রাবি আর আরসিতে পড়েন তারা। তাদের দেখে মায়া হতো খুব। আহারে! মেয়ে হয়ে বাজার করতে হয়। হোক তারপর একদিন ভর্তি হলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা প্রচন্ড গরমে ভীড়ে দাঁড়িয়ে শাটল ট্রেনে করে ২২ কিলোমিটার  দূরের শহরে গিয়ে টিউশনি করান। কষ্ট পেলাম খুব। মেয়ে হয়ে রোজগার করতে হয়, বাজার করতে হয়, রান্না করতে হয় আবার পড়াশোনাও করতে হয়! আহারে! ভাবতে থাকলাম, আল্লাহ তায়ালা কী আমারে খুব দুর্বল করে তৈরি করেছেন নাকি ওনাদের বেশি স্ট্রং করেছেন। আল্লাহ! আপনি আমায় পর্যাপ্ত সামর্থ্য দিয়েন। আমাদের পুরুষদের উচিত আরো বেশি পরিশ্রমী হওয়া। যেন মেয়েদের এই কষ্ট না করতে হয়।


এত পরিশ্রমের পর মেয়েরা একাকিত্বে ভোগে। বিয়ের জন্য ছটফট করে মন। কেউ হয় তো প্রেমিক খুঁজে নেয়। কিন্তু, প্রেমিক কী আর পারে সব দায়িত্ব নিতে? সকালে প্রেম করে দুপুরে ঠিকই শাটলে ঝুলতে ঝুলতে যেতে হয় শহরে টিউশনিতে। ইউনিভার্সিটিতে তো ম্যাক্সিমাম ডিপার্টমেন্টেই পড়াশোনা হয় না। জ্ঞান অর্জন বলতে কিছুই নেই এখানে। শুধু শুধু নষ্ট করা হয় যৌবনের সোনালী সময়টুকু। 


তোমার হলের পানির ডাল, শাটলের দরজায় কোনো মতো দাঁড়ানো আর প্রচন্ড ডিপ্রেশন। সব কিছুর জন্য আমিই দায়ী। ক্ষমা করে দিও সোনামণি।

Post a Comment

أحدث أقدم