১. শিবির: চাকসুর ভিপি হওয়ার সবচেয়ে যোগ্য ছিলেন মোহাম্মদ আলী ভাই। আলী ভাই সাদিক কায়েমের মতো একজন আইকনিক ফিগার। আলী ভাইয়ের নেতৃত্বেই আমি জুলাইয়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু, দুঃখের বিষয় ভাই চাকসুতে দাঁড়াতে পারতেছেন না। শিবির থেকে সম্ভাব্য ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম রনি ভাই। রনি ভাই একই সাথে সৎ এবং শক্তিশালী। কিন্তু, আলী ভাইয়ের মতো আইকনিক ফিগার না। রনি ভাইয়ের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতি ছড়ানো হয়েছে। বাস্তবে রনি ভাই একজন অমায়িক মানুষ, যা সামনাসামনি পরিচিত হলে বুঝতে পারবেন। ভাইয়ের এখন দায়িত্ব হলো সাধারণ ননপলিটিক্যাল স্টুডেন্টদের সাথে বেশি বেশি মিশে নিজের বাস্তব অবস্থার জানান দেওয়া।
২. স্যাড: স্যাড থেকে আবির বিন জাবেদ ভাই দাঁড়াচ্ছেন, ইনশাআল্লাহ। আবির ভাই একজন ভালো মানুষ। তবে এত ছোট দল নিয়ে এত স্টুডেন্টকে রিচ করতে পারবেন কী না এটাই মুখ্য বিষয়।
৩. ইসলামী ছাত্র আন্দোলন: ইসলামী ছাত্র আন্দোলন থেকে রবিন ভাই দাঁড়াচ্ছেন, ইনশাআল্লাহ। রবিন ভাইকে আমি উপরের দুইজনের তুলনায় পলিটিক্যালি কম যোগ্য মানুষ মনে করি। তবে তিনি সৎ, অমায়িক এবং দ্বীনদার ব্যক্তি।
৩. বাগছাস (গ্রুপ ১): বাগছাসের মূল গ্রুপ থেকে মুনতাসির ভাই সম্ভাব্য ভিপি প্রার্থী। যদিও ওনাদের প্যানেল এখনো কিছু কনফার্ম জানায়নি। মুনতাসির-মাসনূন-রাফি প্যানেল রাজনীতিতে নতুন। জুলাই থেকে উঠে আসা শক্তি। মুনতাসির ভাইয়ের সুন্নি ভোট আছে পর্যাপ্ত। চাটগাঁর লোকাল ভোট আছে। তবে এগুলো দিয়ে কতদূর আগাতে পারবেন আমার আইডিয়া নাই। কারণ, ওনার বিরুদ্ধে শিবিরের নামে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আছে।
৪. বাগছাস (গ্রুপ ২): বাগছাস করা একটা গ্রুপ স্বতন্ত্র থেকে প্যানেল দিচ্ছেন। মাহফুজ-দিনার প্যানেল৷ প্যানেলটাকে যথেষ্ট যোগ্য মনে হয়েছে। কর্মঠ ছেলেমেয়েদের দিয়ে সাজানো হচ্ছে। মাহফুজ ভাইয়ের মেয়েদের হলে অনেক ভোট আছে। মাহফুজ ভাই যোগ্য মানুষ। কিন্তু, দলীয় ব্যাকআপ ছাড়া কতদূর আগাতে পারবেন এটাই চিন্তার বিষয়। ওনার জায়গায় আমি হলে নিজে প্যানেল না দিয়ে অন্য কারো সাথে জোট করতাম। ও হ্যাঁ, এই প্যানেলে দিনার ভাইয়ের এলাকার অনেক ভোট আছে। আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদ।
৫. ছাত্রদল: ছাত্রদল থেকে ভিপি পদে কে দাঁড়াচ্ছেন, আমি এখনো জানি না। সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় ভাই দাঁড়ালে বেস্ট হবে। কিন্তু, ওনারা চাচ্চু কাউকে দাঁড় করালে ফ্যামিলিগত বিএনপি করা পোলাপানও সম্ভবত ভোট দিবে না। ছাত্রদল চবিতে সাংগঠনিকভাবে শিবিরের চেয়ে অনেক বেশি দুর্বল। চাকসুতে হঠাৎ করে শক্তিশালী হওয়া সম্ভব কী না আমার জানা নাই। প্যানেল সিলেকশনের পর ভালো মতো মন্তব্য করতে পারবো।
৬. ছাত্র মজলিস: সাকিব মাহমুদ রূমী নিজস্ব প্যানেল করার চিন্তা করতেছেন৷ ছোট সংগঠন নিয়ে ফুল প্যানেল করা কতটুকু যৌক্তিক আমার জানা নাই। রূমী একজন যোগ্য নেতা। আমি মনে করি, ওনার উচিত হবে অন্য কোনো প্যানেলে জোট করে জিতে আসা। তবে, এখানে দুইটা বিষয় থাকে। একটা ব্যক্তিস্বার্থ, আরেকটা সাংগঠনিক স্বার্থ। ফুল প্যানেল দিয়ে জিততে না পারলেও সংগঠনের পরিচিতি বাড়বে।
৭. বাম (জুলাই গ্রুপ): গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট থেকে একটা প্যানেল হতে যাচ্ছে। ওনাদের ভিপি-জিএস কে দাঁড়াচ্ছেন, আমি খোঁজ নিইনি ভালো করে। ভিপি হিসেবে ফিমেল কেউ দাঁড়ালে মেয়েদের হলের ভোট ওনারা ভালো পাবেন। (যেমন: সুমাইয়া শিকদার) ছেলে কেউ দাঁড়ালে জিতার কোনো সম্ভাবনা এবার অন্তত নাই।
৮. বাম (লীগপন্থী): লীগের জোটসঙ্গী বামরাও একটা প্যানেল দিতে যাচ্ছেন। ওনাদেরকে মন থেকে ঘৃণা করি। ওনাদের নিয়ে আলাপ করার প্রয়োজন অনুভব করছি না।
৯. ছাত্র অধিকার পরিষদ: চবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ একটা বিপ্লবী সংগঠন। লীগের আমলে চোখে চোখ রেখে কথা বলে তারা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জুলাইয়ের পূর্বে কোনো চাকসু হলে ছাত্রলীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তারাই হতেন। এখন যেহেতু ডানপন্থীদের অনেকগুলো প্যানেল আছে, তাদের গুরুত্ব তুলনামূলক কমে আছে৷ তবে তাদের সম্ভাব্য ভিপিপ্রার্থীদের প্রত্যেককেই সৎ এবং নির্ভীক বলে মনে হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন