চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: নিজের পরিচয় লুকায়ে জাতে ওঠার চেষ্টা
দেশে সরকারের উপদেষ্টা, লেখক, এক্টিভিস্ট অনেক জনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের। ঢাবির পর সবচেয়ে বেশি চবিরই হবে। প্রধান উপদেষ্টা থেকে ধর্ম উপদেষ্টা, ব্লগার ফারাবী থেকে লেখক আরিফ আজাদ, বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম থেকে সাহিত্যিক আনিসুজ্জামান। এগুলো বাদেও অনেক দু দিনের পোলাপানও বিভিন্ন সংগঠনের কেন্দ্রীয় দায়িত্বে যাওয়ার পর চবির খোঁজখবর রাখে না। দেশের মধ্যে বিশাল পরিচিত অ্যাক্টিভিস্ট, সারাদেশ নিয়ে বয়ান টয়ান দেয়। ডাকসু নিয়ে আলাপ করে, চাকসুর আলাপ করে না। ফেসবুকে লাখ লাখ ফলোয়ার, ক্যাম্পাসে কুত্তাও চিনে না। ক্যাম্পাসের কোনো পোস্ট শেয়ার দিতেও হীনমন্যতায় ভোগে। কেউ উপন্যাস বা গল্প লেখলে, সেই গল্পের সেন্ট্রাল ক্যারেক্টারকে ঢাবির স্টুডেন্ট বানায়ে দেয়। মানে ভাবসাব এমন, আমি তো ন্যাশনাল লেভেলের মানুষ, চবির মতো গ্রামের একটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলাপ করবো কেন?
আমি ফার্স্ট ইয়ার থেকেই ক্যাম্পাসে আছি। একদিনের জন্যও হলে ছিলাম না। ক্যাম্পাসে এক্টিভিজমের সময় বের করার জন্য শহরে টিউশনি করাইনি কোনোদিন। চবিয়ানরাই চবিরে গোণার মধ্যে ধরে না। অন্যরা গুণবে কেমনে?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন