গল্প: "দুই পিস বার্গার।"

সৈয়ব আহমেদ সিয়াম


রোজকার রুটিনমতো বিকালে সোহরাওয়ার্দীর মোড়ে ১০ টাকার ছোলা-বুট খাই। আজ একটু শখ করে উন্নত মানের দোকানে গেলাম। গেলাম জিরো পয়েন্টের ক্যাম্পাস ক্যাফেতে। ওখানে আবার মুড়িমাখা পাওয়া যায় না। বার্গার, পিৎজা সব নামিদামি খাবার। ক্যাফেটা দেখতে অনেকটা পার্কের রেস্টুরেন্টের মতো। অনেকগুলো ছাতা, গোল গোল টেবিল, সাথে সাজানো গোছানো সব চেয়ার। বসেই ভাবলাম... "নাহ! মুড়িমাখাই খাওয়া উচিত। এত টাকা খরচ করা ঠিক হবে না। এসব আবোল তাবোল জিনিস খেয়ে টাকা শেষ করা যাবে না।" 

একটু মনযোগ দিয়ে খেয়াল করলাম অন্য টেবিলগুলোর দিকে। আরেকটু মনযোগ দিলাম। দেখলাম, আমি ছাড়া সব টেবিলেই জোড়ায় জোড়ায় বসা কাপলরা... 😧 চুপচাপ একটু চিন্তা করলাম। আরেকটু চিন্তা করলাম। চিন্তার ক্যালকুলেশন শেষে একটা এ+ রেজাল্ট এলো, "নর্মালি এরা সবাই জিএফ-বিএফ। আর খাওয়া শেষে সব টেবিলের বিল তো ছেলেরাই দিবে।" 🤔 মানে এই ছেলে গুলোর ডাবল খরচ। এসব ভেবে আমার মন ঘুরে গেলো। আরো একটু ভাবলাম। তারপর, একটার জায়গায় দুইটা বার্গার অর্ডার দিলাম। আরামছে খেয়ে-দেয়ে, নিজে নিজেই সেলফি তুলে চলে এলাম। 🥱 

কেমন ছিলো গল্পটা? 😇 গল্পের নাম: "প্রেমিকাহীন দুই পিস বার্গার।"

- সৈয়ব আহমেদ সিয়াম

Post a Comment

أحدث أقدم